মাশরুম এমন এক ধরনের ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ যা সূর্যের আলো ছাড়াই সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। যার কারণে বাড়ির আনাচে-কানাচে খুব ভালোভাবেই জন্মাতে এগুলো জন্মাতে দেখা যায়। কিছু জাতের মাশরুম রয়েছে যেগুলি রাতরাতি উৎপন্ন হয়ে যায়। ভারত ও বাংলাদেশ সহ আরো অন্যান্য দেশেও মাশরুম ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এর উপকারিতা যত বলব ততই কম, এটি খাওয়ার বিশেষ ১১টি উপকারিতা এখানে দেওয়া হয়েছে। তবে মাশরুম ভালোভাবে সনাক্তকরণ করা খুবই প্রয়োজন কারণ সব ধরনের মাশরুম খাওয়ার উপযোগী হয় না। কিছু মাশরুমের মধ্যে বিষ থাকতে পারে যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা কি? What are the benefits of eating mushrooms?
১. উচ্চপর্যায় প্রোটিন: সাদা রঙের মাশরুমের মধ্যে উচ্চপর্যায় প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিন শরীরে বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগে, বিশেষ করে চর্বিহীন প্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে একটি সুস্থ হার্ট বজায় রাখতে সহায়তা করে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ: এতে চর্বি ও ক্যালরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি, যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা থাকে না এবং খাওয়ার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য: মাশরুমে থাকা ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ এবং জ্ঞানীও কার্যকারিতা পরিচালনা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যদি কোন ব্যক্তি ডায়েটে নিয়মিত মাশরুম যুক্ত করেন তাহলে ভালো মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অক্সিডেন্ট স্ট্রেসের ক্ষতির হাত কোষ গুলোকে সুরক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং হার্টকে ভালো রাখে।
৫. ACE Inhibitor: এসিই ইনহিবিটর (ACE Inhibitor) রক্তচাপ কমায়, হার্ট ফেল হওয়া রোধ করে এবং শিরা ও ধমনী শিথিল রক্তের সাহায্য করে।
৬. আন্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য: মাশরুমের মধ্যে আন্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ গুলোকে ধ্বংস করে ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে বাঁচায়।
৭. শরীরকে রিলাক্স ও ঠান্ডা রাখে: মাশরুম তার বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে শীতল হয়ে থাকে, এছাড়াও এতে ৯২.৪ শতাংশ জল রয়েছে, যা শরীরকে রিলাক্স ও ঠান্ডা রাখে এবং গরমে পেটের সমস্যা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৮. ডায়াবেটিসে সুবিধা: এতে শর্করার মাত্রা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই মাশরুম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপযোগী একটি খাবার হতে পারে।
৯. অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা: অন্ত্র আমাদের শরীরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সঠিক ভাবে থাকাটা খুব জরুরি। মাশরুমের মধ্যে থাকা অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বা অন্তরের উদ্ভিদ বলতে ছত্রাক, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সহ বিভিন্ন অণুজীব কে বোঝানো হয়, যা আমাদের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল (বদহজম, বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া) সমস্যা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।
১০. পটাশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম শরীর থেকে দ্রুত সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে দেয় এবং রক্তনালীর উত্তেজনা ও রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।
১১. সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম থাইরয়েড যুক্ত রোগীদের জন্য খুবই ভালো কাজ করে। সেলেনিয়াম কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, ত্বকের ক্যান্সার ও আর্থ্রাইটিস হওয়া থেকে বাঁচায়।
Question-
- কিভাবে সঠিক মাশরুম সনাক্ত করতে হয়?
- মাশরুমের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?
- মাশরুম দিয়ে তৈরি কিছু খাবারের নাম .