সুপার ফুড গাজর আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটা উপকারী ?

1. পুষ্টি উপাদান: গাজর ভিটামিন A, C, k, B6, বিটা-ক্যারোটিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সহ আরো অসংখ্য পুষ্টি উপাদান দ্বারা সমৃদ্ধ। 

2. প্রেসারের সমস্যা: গাজরে থাকা পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়ামের প্রভাব প্রতিরোধ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা হাই প্রেসার যুক্ত রোগীদের জন্য ভালো। 

3. বিটা-ক্যারোটিন উপাদান: গাজরকে সুপার ফুড বলা হয় কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, এছাড়াও ভিটামিন A যা বিটা-ক্যারোটিন রূপে কাজ করে দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

4. মস্তিষ্কের কার্যকলাপ: এতে রয়েছে ভিটামিন B6 যা কার্বোহাইড্রেট ও অ্যামাইনো এসিড ভেঙ্গে ফেলে এবং মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ও বিকাশে সহায়তা করে। 

Carrot juice benefit

5. অ্যান্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য: এই সবজিতে অ্যান্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ক্যান্সারের জন্য খুবই ভালো, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ব্লাড ক্যান্সার সহ আরো বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। 

6. ওজন নিয়ন্ত্রণ: এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি যার কারণে এটি খাওয়ার পর শরীর দীর্ঘসময়ের জন্য পূর্ণতার অনুভূতি যোগায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

7. হার্ট অ্যাটাক: এই সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ হার্টকে ভালো রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম করে দেয়। 

8. ইমিউনিটি বুস্ট: প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এবং সকালের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করবে।

9. ডায়াবেটিসে সুবিধা: বেশিরভাগ মানুষই ভাবে যে ডায়াবেটিস যুক্ত রোগীরা গাজর খেতে পারবে না কিন্তু এতে গ্লাইসেমিক সূচকের মাত্রা পরিমাণে কম থাকায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা এই সবজি নির্দ্বিধায় খেতে পারে, এতে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।  

10. বার্ধক্য রোধ: গাজরে থাকা সবচেয়ে বেশি মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিন বার্ধক্য রোধ করতে সহায়তা করে। 

Carrots are chopped

11. হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য: এতে ৮৬- ৮৯% জলের পরিমাণ রয়েছে, যা শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটিং রাখতে সাহায্য করে। 

12. ত্বকের যত্নে: গাজরে থাকা ভিটামিন C খুব ভালো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। 

13. ভিটামিন k উপাদান: ভিটামিন K অস্টিওপোরোসিস এর ঝুঁকি কমায়, শরীরের রক্ত জমাট হওয়া থেকে বাধা দেয় এবং হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা করে। 

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *