ধনেপাতা তাদের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। এই ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমানে ভিটামিন এ, সি, কে, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং আন্টি-অক্সিডেন্ট সহ আরও অন্যান্য পুষ্টি, যা আমাদের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, হজমে সাহায্য করে, বিভিন্ন প্রদাহ এবং সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে, উদ্বেগ ও চাপ কমায়, শরীর থেকে বিষাক্ত ধাতু (পারদ, সিসা ও আর্সেনিক) ডিটক্সিফিকেশন এর মাধ্যমে বার করে দেয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে এবং বিশেষ করে ডায়াবেটিস যুক্ত রোগীদের জন্য এই ধনেপাতা কিন্তু খুবই উপকারী একটি খাদ্য বলা যেতে পারে।
ধনেপাতা খেয়ে আপনি কি কি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন? What health benefits can you get from eating cilantro?
১. ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা বিটা করোটিন রূপে কাজ করে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
২. ধনেপাতায় আন্টি-ইনফ্লেমেটরি নামক যৌগ রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী আন্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সমস্ত ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং আর্থ্রাইটিসের মতো গুরুতর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৩. এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করে এবং ডায়াবেটিস যুক্ত রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ সুবিধা করে।
৪. বিশেষ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ধনেপাতা খাওয়ার ফলে শারীরিক ও মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ কমতে পারে।
৫. এতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি যার কারণে এটি সামগ্রিক ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দেয়, পেটকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরাট রাখে, হজমের ক্ষমতা বজায় রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৬. ধনেপাতা এবং ধনেপাতার বীজের মধ্যে এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিভিন্ন খারাপ ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৭. ডিটক্সিফিকেশন এর মাধ্যমে পারদ ও আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত ধাতু বার করে শরীরকে বিষাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৮. এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন কে শরীরের রক্ত জমাট হওয়া থেকে বাধা দেয়।
৯. এতে ৪.৭ গ্রাম আয়রন রয়েছে, যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।