চুলের জন্য অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) খুবই ভালো এবং জনপ্রিয় একটি প্রাকৃতিক তেল। এই তেল চুলকে মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলকে হাইড্রেট রাখে, এছাড়াও এই তেলে থাকা ভিটামিন চুলের যত্নের জন্য অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
চুলের যত্নের জন্য অলিভ অয়েলের উপকারী গুনাগুন। Benefits of olive oil for hair care.
১. অলিভ অয়েল চুলের স্কাল্পে প্রবেশ করে চুলকে হাইড্রেট, নরম ও মসৃণ করে তোলে এছাড়াও চুলের শুষ্কতা কম করে।
২. বিভিন্ন শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করার ফলে চুলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক তেল এবং মসৃণ ভাব নষ্ট হয়ে যায়, তবে অলিভ অয়েল সেই প্রাকৃতিক তেল ফিরিয়ে এনে চুলকে মসৃণ ও চকচকে করে তোলে।
৩. এই তেল ভিটামিন E দ্বারা সমৃদ্ধ, যা দূষণ থেকে চুলকে রক্ষা করে, চুলের আদ্রতা ধরে রাখে, চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং খুশকি দূর করে।
৪. ভিটামিন কে চুলের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও এই ভিটামিন রক্তের মাধ্যমে চুলের ভিতরে পুষ্টি সরবরাহ করে, যা চুলের ফলিকল গুলোকে সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেয়।
৫. অলিভ এবং অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা চুলের ত্বকে হওয়া বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৬. ভিটামিন D যুক্ত অলিভ অয়েল নতুন চুলের ফলিকল তৈরি করে, চুলের বৃদ্ধি, চুল পাতলা হওয়া ও ঝরে পড়া থেকে বাঁচায়, চুলের শক্তি যোগায়, চুলকে ময়েশ্চারাইজিং ও কন্ডিশনিং করে তোলে।
৭. বিভিন্ন হেয়ার স্টাইল করার জন্য চুলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তাপ এবং অন্যান্য কেমিক্যাল এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা চুলকে পুড়িয়ে ও নষ্ট করে দেয়। অলিভ অয়েল সেই চুলের মেরামত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত অলিভ অয়েল দিয়ে চুল মাসাজ করলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
৮. সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই তেলের মেসেজ করে তারপর চিরুনি ব্যবহার করলে চুল ভেঙে যাওয়া বা অতিরিক্ত চুল পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম।
চুল কতটা ঘন এবং লম্বা সেই অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার জন্য রেখে দিন, তারপর যেকোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাসাজটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করলে চুলের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন সঠিক হয় এবং চুলকানি ও খুশকির সমস্যা দূর হয়।