ক্যাপসিকাম হলো এক ধরনের ফল যা সাধারণত সবজি হিসেবে রান্নার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর বৈজ্ঞানিকভাবে Capsicum ও ইংরেজিতে Bell pepper বলা হয়, যা Solanaceae পরিবারের অন্তর্গত। এটির বিভিন্ন জাত রয়েছে যেমন বেল মরিচ, মরিচ সহ আরো অন্যান্য। এটি বিভিন্ন জাতের উপর নির্ভর করে আলাদা- আলাদা রঙের হয়ে থাকে (লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা)।
এই ফল গাছ সবুজ পাতা, লম্বা ডালপালা, ঝোপযুক্ত হয় এবং সাদা, সবুজ ও বেগুনি রঙের পাঁচ পাপড়িযুক্ত ফুল হয়। এই ক্যাপসিকাম এর ভিতরে ছোট ছোট অসংখ্য সাদা বীজ থাকে যা ঝালের স্বাদ দিয়ে থাকে, এছাড়াও এটি রান্নায় মসলা (Chilli flakes) হিসেবে ব্যবহার হয়।
ক্যাপসিকাম এর পুষ্টি উপাদান। Nutrient content of Capsicum.
১০০ গ্রাম ক্যাপসিকাম এর পুষ্টি উপাদান—
- জলের পরিমাণ: 93%
- ক্যালরি: 26 g
- প্রোটিন: 0.99 g
- কার্বোহাইড্রেট: 6.03 g
- ফাইবার: 2.1 g
- চিনি: 4.2 g
- গ্লুকোজ: 1.94 g
Minerals:
- ক্যালসিয়াম: 7 mg
- ম্যাগনেসিয়াম: 12 mg
- ফসফরাস: 26 mg
- পটাশিয়াম: 211 mg
Vitamin:
- ভিটামিন সি: 120 mg
- ফোলেট: 46 ug
- ভিটামিন এ: 157 ug
- বিটা ক্যারোটিন: 1620 ug
- ভিটামিন ই: 1.58 mg
- ভিটামিন কে: 4.9 ug
ক্যাপসিকাম খাওয়ার 9 টি উপকার। 9 Benefits of Eating Capsicum.
১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ: ক্যাপসিকাম এর মধ্যে ভালো মাত্রা ভিটামিন সি উপস্থিত রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত ও শরীরকে বিভিন্ন ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে।
২. খনিজ উপাদান: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম সহ আরো অন্যান্য খনিজ রক্তচাপ কমায়, হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে তোলে, রক্ত জমাট বাধা রোধ করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: লুটেইন এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের যৌগিক কমায়।
৪. ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা: ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের সহায়তা করে ত্বককে ভালো রাখে, ত্বকের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন রেস, ইনফেকশন দূর করে এবং অকালে ত্বকের চামড়া ঝুলে যাওয়া থেকে আটকায়।
৫. প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য: এই ফলের মধ্যে থাকা ক্যাপাসাইসিন নামক যৌগ শরীরকে গরম অনুভূতি দেয় যা বিভিন্ন প্রদাহ ও আর্থারাইটিস এর মত গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে তোলে।
৬. পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি: প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকাম এর মধ্যে ২.১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, নিয়মিত মলত্যাগ ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এর মত পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
৭. উচ্চ ক্যালোরি: এতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি থাকার কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে যা সামগ্রিক ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৮. চোখের স্বাস্থ্য: এতে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যার চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে, ম্যাকুলার ও ছানি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯. হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত: এর মধ্যে থাকা সমস্ত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে ভালো করে তোলে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।