কলা খুবই পরিচিত একটি ফল এখন এটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে এই পাকা এবং কাঁচা উভয় কলাতেই লুকিয়ে রয়েছে কিছু আলাদা গুণ।
১. পাকা কলাতে সাধারণত ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা পেটকে দীর্ঘসময়ের জন্য পূর্ণতার অনুভূতি যোগায়।
২. ডায়াবেটিস যুক্ত রোগীদের জন্য পাকা কলা ক্ষতিকর হতে পারে, এটি রক্তে শর্করার মাত্র বাড়িয়ে পারে।
৩. কাঁচা কলায় ক্যালরির পরিমাণ মাত্রায় কম থাকায় এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও ক্যালরির পরিমাণ বাড়তে পারে না, যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এটি খুবই সাহায্য করে।
৪. কাঁচা কলায় শর্করার মাত্রা কম থাকে তাই এটি ডায়াবেটিসযুক্ত রোগীদের জন্য এটি উপকারী সবজি বলা যেতে পারে।
৫. এই ফলে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। যে সকল ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস নেই তারা নির্দ্বিধায় পাকা কলা নিজেদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৬. পটাশিয়াম হল কলার অন্যতম একটি বিশেষ উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচায়।
৭. কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ শরীরে দ্রুত শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
৮. এই ফলে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা মেজাজকে আরো উন্নত করতে এবং ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৯. ফাইবার অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে অন্ত্রকে ভালো রাখে, বিশেষ করে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এর মতো সমস্যারও সমাধান করে।
১০. এই ফলে থাকা ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইড প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে আমাদের অন্ত্রের মধ্যে থাকা সমস্ত ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
১১. কলাতে উপস্থিত ও আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
১২. ভিটামিন B6 মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ও জ্ঞানীয় বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১৩. ভিটামিন C হাঁপানি রোগের জন্য বিশেষ সহায়তা করে।
১৪. কিডনির জন্য কলাতে থাকা পটাশিয়াম খুবই উপকারী, তবে যাদের আগে থেকে কিডনির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি গ্রহণ করবেন।
১৫. ভিটামিন B9 গর্ভাবস্থায় থাকা একজন মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় পুষ্টি। কলাতে থাকা এই ফোলেট(B9) ভ্রুনের বিকাশ এবং বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটির সমস্যা হওয়া থেকে রক্ষা করে।