আদা (Ginger) আমরা রান্নার জন্য ব্যবহার করে থাকি। তবে এটি শুধু স্বাদ কিংবা গন্ধের জন্যই নয় বরং এটি একটি ঔষধি মূল জাতীয় উদ্ভিদ, যা আমাদের বিভিন্ন রোগ বিসুখ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর বিভিন্ন পুষ্টি শরীরে শক্তি যোগায়, হজমে সাহায্য করে, বিভিন্ন ব্যথা কমায়, বিভিন্ন ফ্লু থেকে রক্ষা করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সাথে সাথে আরো অন্যান্য সাহায্য করে থাকে।
এই আদা স্বাস্থ্যের সাথে চুলের জন্য খুবই উপযোগী। আদা তেল চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
শরীরের জন্য আদার ৮টি উপকারিতা। 8 benefits of ginger for the body.
- হজম স্বাস্থ্য – প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কুচি আদা খেলে পেট ফোলা, বদহজম, গ্যাস সহ পেটের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- বমি ভাব – সকালে উঠে হঠাৎ বমি- বমি ভাব বা ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এক গ্লাস নরমাল জলে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের প্রতিনিয়ত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আদা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- মাসিক ব্যথা – বহু মহিলা আছেন যাদের মাসিক হওয়ার আগে এবং মাসিক হওয়ার সময় পেটে ও গা-হাতে তীব্র ব্যথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আদা এই মাসিকের ব্যথা কমানোর জন্য উপযুক্ত একটি ওষুধ।
- সর্দি কাশি – বর্ষায় বিভিন্ন ইনফেকশন, সর্দি-কাশি ও ভাইরাল ফিভার হয়ে থাকে। আদা এই সমস্ত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে ও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
- হার্টের স্বাস্থ্য – এতে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম আছে যা রক্ত জমা বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি কমায় ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে ভালো রাখে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ – প্রতি 100 গ্রাম আদার মধ্যে ৮০ ক্যালোরি থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়া কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে হালকা উষ্ণ গরম জলে ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমে।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা – মাথা ব্যাথা কমাতে এটি খুবই উপযোগী। এছাড়াও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ জ্ঞানীও কার্যকারিতা, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং ভুলে যাওয়ার রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য আদার ৫টি উপকারিতা। 5 Benefits of Ginger for Hair.
আদা রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ভিটামিন b6, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং কপার সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ। এই ভিটামিন গুলি চুলের বৃদ্ধি, চুল পাতলা হওয়া, চুল পড়া সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আদার তেল চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।
- আদার আন্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য গুলি চুলকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায় এবং চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্টি যুগিয়ে চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
- এতে থাকা ফ্যাটি এসিড চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলকে নরম, চকচকে ও উজ্জ্বল করার সাথে সাথে চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।
- এতে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও এন্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য চুলের খুশকি দূর করে।
- অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের চুলকানি, জ্বালা ভাব, ফুসকুড়ি ও র্যাশ কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত আদার তেল চুলে ব্যবহার করলে অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া ও চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।