১. শশা: প্রতি ১০০ গ্রাম শশার মধ্যে প্রায় ৯৬% জলের পরিমাণ রয়েছে। গরমে শশা পেট ঠান্ডা রাখে, সূর্যের রশ্মি থেকে হওয়া ত্বকের রোগ কমায়, শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ করে, দেহে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, এছাড়াও শসার খোসার মধ্যে রয়েছে সব থেকে বেশি পরিমাণ ফাইবার যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
২. ডাব: ডাবের মধ্যে মোট ৯৫% জল থাকে, যা শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায় এবং এই ডাবের জলে কম পরিমাণ ক্যালরি আছে যেটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও ইলেকট্রোলাইট। প্রতিদিন সকালে ডাবের জল খেলে শরীর দ্রুত এনার্জিটি অনুভব করে।
৩. তরমুজ: তরমুজের মধ্যে ৯০- ৯২% জলের পরিমাণ রয়েছে, যা শরীরকে হাইড্রেটিং রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে সিট্রলাইন নামক একটি অ্যামিনো এসিড থাকে, এই অ্যামিনো এসিড আর্জিনাইন এ রূপান্তরিত হয়ে রক্তনালীর স্বাস্থ্যের প্রচার করে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, যা কার্ডিওভাস্কুলার এর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
৪. আম: আম ফলে ৮০-৮৫% জল রয়েছে। এই ফলের অর্ধেকের বেশি পরিমাণ জল দ্বারা সমৃদ্ধ, যা গরম আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে, ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ভিটামিন A ইউভি(UV) রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৫. লিচু: লিচুতে ৭০- ৮০% জল আছে, যার কারণে এই ফলকে হাইড্রেটিং ফল বলা হয়। এতে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলি শরীরে দ্রুত রক্ত বৃদ্ধি করে, অ্যানিমিয়া রোগ কমায় এবং ফাইবার হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা কম করে। এছাড়াও এতে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারী কোষকে গুলিকে নষ্ট করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।