১. পুষ্টি উপাদান: কুমড়ার মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ (বিটা-ক্যারোটিন), ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, মনোস্যাচুযষরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, পলি আন স্যাচুরেটেড ফাটি অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, টোকোফেরল, খনিজ লবণ, পলিস্যাকারাইড (পেকটিন ও ফেনোলিক) ও ট্রিপটোফ্যান সহ আরো অসংখ্য পুষ্টি।
২. বীজের পুষ্টি: কুমড়ার বীজে বায়োঅ্যাকটিভ নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এছাড়া জিংক, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সহ আরো অন্যান্য খনিজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. লিভার সুরক্ষা: এতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং লিভারকে ভালো রাখে।
৪. ভিটামিন A: কুমড়াতে থাকা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ভিটামিন A। এই ভিটামিন A বিটা-করোটিনে পরিণত হয়ে আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নত করতে বিশেষ সাহায্য করে।
৫. ভিটামিন C: এতে থাকা ভিটামিন C রক্ত ক্ষরণ কমায়, হাড়কে মজবুত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের জন্য কোলাজেন উৎপাদনের সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উদ্ভিদভিত্তিক খাবার থেকে আয়রন শোষণ করতে সহায়তা করে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ: এই সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম প্রায় ১০০ গ্রাম কুমড়োতে 25 গ্রাম ক্যালোরি থাকে। এবং ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, যা ওজন কমাতে বিশেষ উপকারী।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধ: শরীরে সৃষ্টি হওয়া ক্যান্সারের কোষগুলোকে নষ্ট করে ক্যান্সার হওয়া থেকে বাঁচায়।
৮. অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি: অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়।
৯. ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রন: কুমড়ার মধ্যে অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রভাব ক্ষমতা রয়েছে, যা ডায়বেটিসযুক্ত রোগীদের জন্য উপকারী। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
১০. পটাশিয়াম: কুমড়া এবং কুমড়ার বীজে বেশ ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। এই পটাশিয়াম হল একটি ইলেকট্রোলাইট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পেশি সংকোচন এবং শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১১. হার্টের স্বাস্থ্য: কুমড়োতে থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।