১. হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষা: আখরোটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, এই ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড LDL (খারাপ) কোলেস্টেরল কমিয়ে HDL (ভালো) কোলেস্টেরল এর মাত্রা ঠিক রেখে হার্টকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক সহ আরো অন্যান্য হার্টের রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়।
২. প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য: আখরোটের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এর কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস, আলঝেইমার এবং ক্যান্সারের মতো প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
৩. ভালো ফ্যাট: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড একটি ভালো ফ্যাট নামে পরিচিত। এই ভাল ফ্যাট ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণ করার সাথে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয়।
100 গ্রাম শুকনো আখরোট এর পুষ্টি উপাদান —
- ক্যালসিয়াম: 98 mg
- আয়রন: 2.91 mg
- ম্যাগনেসিয়াম: 158 mg
- পটাশিয়াম: 441 mg
- কপার: 1.50 mg
- দস্তা: 3.09 mg
- ম্যাঙ্গানিজ: 3.41 mg
- ভিটামিন সি: 1.3 mg
- ভিটামিন বি6: 0.537 mg
- ফোলেট: 98 ug
- ভিটামিন কে: 2.7 ug
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আখরোটের মধ্যে অন্যান্য ফল বা বীজের তুলনায় সবথেকে বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং
৫. চুলের উপকার: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং বিভিন্ন খনিজ দ্বারা সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুল পড়া রোধ করে, খুশকি দূর করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের খাদ্য যোগাতে বিশেষ সহায়তা করে।
৬. অ্যান্টি ক্যান্সার বিরোধী: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার সহ আরো বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে সাহায্য করে।
৭. হাড়ের ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ: বয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা নিয়মিত আখরোট খেলে হাড় সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং এতে থাকা পলিফেনল ও আলফা-লিনোলেনিক যৌগ হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে বাঁচায়।
৮. হজমের স্বাস্থ্য উপকারিতা: আখরোটে থাকা ফাইবার ডিটক্সিফাইং এর কাজ করে, যা খাবারকে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অন্ত্রের কার্যকলাপ ঠিক রাখে।
৯. উন্নত মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড জ্ঞানীয় কার্যকারিতায় বিশেষ অবদান রাখে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সঠিক রাখে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, শেখার ইচ্ছা, বিভিন্ন বিচার করতে সঠিকভাবে মস্তিষ্ককে কাজ করতে সহায়তা করে, বয়স সম্পর্কিত ভুলে যাওয়া রোগ কমায় এবং আলঝেইমার রোগ হওয়া রোধ করে।