ডায়াবেটিস শরীরে প্রবেশ করার পর ডায়েট চার্ট পরিবর্তন হতে পারে, তবে এর অর্থ মিষ্টি বা রসালো ফল খাওয়া ছেড়ে দেওয়া নয়। সঠিক ফল নির্বাচন, সঠিক ডায়েট এবং কিছু নিয়মই আপনার জীবনের সুখকে আবার ফিরিয়ে দিতে পারে। চলুন আমরা জেনেনি কোন ফলগুলি আপনার ডায়েটে যুক্ত করে ডায়াবেটিসের মতো রোগের সাথে মোকাবিলা করবেন এবং ব্লাড সুগার পরিচালনার একটি মিষ্টি চার্ট তৈরি করবেন।
১. পেয়ারা: পেয়ারা একটি গ্রীষ্মকালীন ফল এতে কম ক্যালরি এবং খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমের স্বাস্থ্যকে আরো ভালো করে তোলে। পেয়ারা ডায়াবেটিসযুক্ত রোগীদের জন্য একটি চমৎকার ফল।
২. পেঁপে: পেঁপে গাছ প্রায় সকলের বাড়িতেই আছে। এই পেঁপে ফলের মধ্যেই রয়েছে মাঝারি পরিমানে গ্লাইসেমিক, ভিটামিন এবং এনজাইম। এই ফলের হজম করার ক্ষমতায় এবং পুষ্টির গুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পছন্দের তালিকায় ধরা হয়ে থাকে।
৩. আমলকী: আমলকিতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কম গ্লাসমিক রয়েছে, যা আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করায় রক্তে শর্করার মাত্র আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে এবং সামগ্রিক হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
৪. বেদানা (ডালিম): মিষ্টি এবং স্বাদে ভরপুর বেদানা একটি মাঝারি গ্লাইসিক সরবরাহ করে এবং এতে পলিফেনল ও অ্যান্থোসায়ানিন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে, কলেস্টরলের মাত্র উন্নত করতে ও হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
৫. আপেল: আপেল তখনই সব থেকে বেশি উপকারীতা দিতে পারে যখন তাকে খোসা সহ গ্রহণ করা হয়। কারণ আপেলের খোসায় রয়েছে ভালো পরিমানে ফাইবার, মাঝারি পরিমানে গ্লাইসেমিক। ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি ও রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে সুস্থ রাখে।
৬. জাম: জাম ফলকে আয়ুর্বেদিক দিক থেকে অ্যান্টিডায়াবেটিস বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে গ্লাইসেমিক সূচক কম, যার কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুষম ফলের ভূমিকা পালন করতে পারে।
৭. তরমুজ: তরমুজের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে গ্লাইসেমিক রয়েছে, তবে এতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি যার কারনে গ্লাসমিকের মাত্রা কমে যায়। পরিমাণ মতো তরমুজ খেলে হাইড্রেশন এবং ভিটামিন পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ডায়াবেটিসের সাথে লড়াই করতে শক্তি জোগাতে পারে।