এই গ্রীষ্মের গরমে অতিরিক্ত তাপ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ ১০ টি ফল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলগুলো শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায়।
১. ডাব (Coconut water): এই গরমে রাস্তাঘাটে বেরোলেই শরীর থেকে অনবরত ঘাম বেড়াতে থাকে, সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা এবং বমি বমি ভাব এগুলি হওয়ার মূল কারণ হলো গরমের অতিরিক্ত তাপমাত্রা। গরমের এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়া খুবই জরুরী। এতে ৯৫% জল রয়েছে এবং এই জল খুবই ঠাণ্ডা, এটি করা রোদেও শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায়।
২. তরমুজ (Watermelon): মিষ্টি এবং লাল রং যুক্ত তরমুজ গরমের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফলে রয়েছে ৯০- ৯২% জল, যা শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
৩. আনারস (Pineapple): গরমে আনারস খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে ৮৬-৮৭% জলের পরিমাণ রয়েছে, যা শরীরকে রিলাক্স করে তোলে এবং গরমে শরীরে লু লাগা থেকে রক্ষা করে।
৪. শশা (Cucumber): শশা এমন একটি ফল যা সবজি এবং রান্না দু ভাবে খাওয়া যেতে পারে। তবে কাঁচা খাওয়ায় সবথেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। অত্যন্ত গরমে শশার জুস কিংবা স্যালাড খাওয়া দরকার। এতে ৯৫% জলের পরিমাণ রয়েছে, যা শরীরকে তাপমুক্ত করতে সাহায্য করবে।
৫. বেল (Indian Bael): বেল কিংবা বেলের শরবত অত্যন্ত গরমে একটি সন্তুষ্টি দায়ক তরল বলা যেতে পারে। এই বেলের শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখার সাথে সাথে পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। প্রতিদিন এক গ্লাস করে বেলের শরবত আপনার শরীরকে গরমের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
৬. পেঁপে (Papaya): পেঁপে একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এটি পাকা এবং কাঁচা দু অবস্থাতেই খাওয়া যায়। মাঝারি আকারের একটি পাকা পেঁপেতে ৮৬-৮৯% জল থাকে যা, তাই আপনি প্রতিদিন একটি করে পাকা পেঁপে কেটে খেতে পারেন। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করে খেলে তা গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার সাথে সাথে অতিরিক্ত গরমের থেকে হওয়া পেট খারাপ, ডায়রিয়া সহ আরো অন্যান্য পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
৭. আম (Mango): আম গ্রীষ্মের সবথেকে জনপ্রিয় একটি ফল। আমকে ফলের রাজাও বলা হয়ে থাকে, এটি খেতে যতটা সুস্বাদু ঠিক ততটাই উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। আমের মধ্যে ৮০- ৮৫% জলের পরিমাণ রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও আন্টি-অক্সিজেন সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি। এই আম শরীরকে হাইড্রেটেট রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তীব্র গরমে কাঁচা আমের টক ডাল, পাতলা করে আমের চাটনি কিংবা আমের টক রান্না খাওয়া যেতে পারে, এছাড়াও পাকা আমের শরবত খেলেও এটি শরীরকে বেশ তৃপ্তি দিতে পারে।
৮. লিচু (Litchi): ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং প্রোটিন সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টিতে ভরপুর লিচুতে প্রায় ৭০- ৮০ % জলের পরিমাণ রয়েছে। এই ৮০ % জলের পরিমাণই শরীরকে হাইড্রেটিং রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায়।
৯. লেবু (Lemon): ভিটামিন C, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরো অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর পাতিলেবু গরমকালে শরীরের জন্য খুবই সন্তুষ্টি জনক একটি ফল বলা যেতে পারে। প্রতিদিন ভাতের পাতে একটি করে চিড়ে রাখা পাতি লেবু কিংবা খাবার শেষে রোজ এক গ্লাস করে পাতি লেবু জুস শরীরের জন্য বেশ উপকারী। অতিরিক্ত গরমেও পাতিলেবুর রস শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সক্ষম।
১০. নাশপাতি (Pear): নাশপাতি ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি। অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায় এবং এনার্জি বুস্ট করে। এছাড়া রশ্মি থেকে হওয়া বিভিন্ন স্কিনের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।